লজ্জার ষোলোকলা পূর্ণ হলো। এক ম্যাচ হারকে অঘটন বলা যায়। কিন্তু টানা দুই ম্যাচে আইসিসির সহযোগী সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে রীতিমতো নাকাল হলো বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে আরব আমিরাত। একইসঙ্গে ২-১ ব্যবধানে তারা জিতে নিয়েছে সিরিজও। একইসঙ্গে আয়ারল্যান্ডের পর দ্বিতীয়বারের মতো কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের রেকর্ড গড়ে তারা।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার এক পর্যায়ে ৮৪ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর শেষ দুই উইকেটে রেকর্ড জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে ১৬২ রান পর্যন্ত যেতে পারে তারা। কিন্তু সেই রান নিয়ে লড়াই করতেও পারেনি লিটন কুমার দাসের দল। পেশাদার ও নিয়ন্ত্রিত রান তাড়ায় আমিরাত জিতে যায় ৫ বল বাকি রেখেই।
১৬৩ রানের লক্ষ্যে খেরতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। মারকুটে আরব আমিরাত অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম বাঁহাতি পেসারের সুইংয়ে ক্যাচ দেন প্রথম স্লিপে। তানজিদ তামিমের ক্যাচ হয়ে ফেরার আগে ৬ বলে ওয়াসিম করেন ৯।
তবে ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারালেও পাওয়ার প্লেতে দারুণ ব্যাটিং করে আরব আমিরাত। ৬ ওভারে তোলে ১ উইকেটে ৫০ রান। অবশেষে অষ্টম ওভারে বল হাতে নিয়েই ব্রেক থ্রু দেন রিশাদ হোসেন। ২৩ বলে ২৯ করে বোল্ড হন মোহাম্মদ জুহাইব।
এরপর জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন আলিশান শারাফু আর রাহুল চোপড়া। তাদের ২০ বলে ২১ রানের জুটি ভাঙেন তানজিম সাকিব। স্লোয়ার বাউন্সারে রাহুলকে (১৩ বলে ১৩) শামীম পাটোয়ারীর ক্যাচ বানান তিনি।
তবে এরপর দলকে এগিয়ে নিয়ে যান আলিশান। রিশাদকে ছক্কা মেরে ৩৮ বলে ফিফটি পূরণ করেন তিনি। এরপর আসিফ খানকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ বের করে নিয়ে আসেন আলিশান। চতুর্থ উইকেটে তারা ৫২ বলে ৯১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। আলিশান ৪৭ বলে ৬৮ আর আসিফ ২৬ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে পারভেজ হোসেন ইমনের ডাক মেরে বিদায়ে শুরু হয় বাংলাদেশের ইনিংস। তিনে নামা লিটন আজ ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি। তাওহীদ হৃদয়ও ফেরেন শূন্য রানে। মাহেদি হাসান নেমে করেন ২ রান। ঝড়ো ব্যাট করতে থাকা তানজিদকে ৪০ রানে বোল্ড করে বিপদ কাটান আমিরাত বোলার আকিফ রাজা।
এরপর দ্রুত উইকেট হারান শামিম হোসেন, রিশাদ হোসেন ও তানজিম হাসান সাকিব। লড়তে থাকা জাকের আলি টিকার চেষ্টা করেন শেষ পর্যন্ত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন তিনি। দশম জুটিতে ১২ বলে ৩৪ রানের জুটি গড়েন হাসান ও শরিফুল। ৩ ছক্কায় ১৫ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন হাসান। ৭ বলে ১৬ রান আসে শরিফুলের ব্যাট থেকে।